মশার কাছে জিম্মি জুরাইন-কদমতলীর মানুষ, শঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা

মশার কাছে জিম্মি জুরাইন-কদমতলীর মানুষ, শঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা

সংগৃহিত ছবি।

এডিস মশার কাছে জিম্মি রাজধানীর জুরাইন- কদমতলী এলাকার মানুষ। এই এলাকার ঘরে ঘরে ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর হটস্পট ধরা হলেও স্থানীয়দের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন থেকে নেয়া হয় না কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভয়ংকর আগস্টকেও ছাড়িয়ে যাবে সেপ্টেম্বরে।

দুই মাস হলো ডেঙ্গু আক্রান্ত আব্দুর রাজ্জাক। মাঝে অবস্থা বেগতিক হওয়ায় নেয়া হয় আইসিইউতে। হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হলেও, এখনও জ্বরে ভুগছেন তিনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেখা দিয়েছে পায়ের সমস্যা। এখন যেন তার জীবন-জীবিকার প্রতিদিনের সংগ্রামটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ধারে জর্জরিত পরিবার।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, টাকা-পয়সা সব কিছুতেই খুব কষ্ট হচ্ছে। ঋণ করতে করতে অবস্থা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’

 

কেবল এই পরিবারই নয়, এডিশ মশার কাছে ভীষণ অসহায় রাজধানীর জুরাইন-কদমতলী এলকার বাসিন্দারা। বছরের পর বছর ধরে সুয়ারেজের পানি জমে থাকে এখানকার রাস্তাঘাটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন থেকে পানি নিষ্কাশন ও মশক নিধনে নেয়া হয় না কার্যকর কোনো ব্যবস্থা।

তারা বলছেন, ‘মাইকিং করে বাড়ি পরিষ্কার রাখার কথা বলে যায়। কিন্তু কোনো কার্যক্রমে তাদেরকে দেখা যায় না।’

 

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ফগিং আর স্প্রে করে ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয়, নিতে হবে উন্নত বিভিন্ন দেশের পরামর্শ।

 

এদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত তিনদিনে মারা গেছেন ৪১ জন।