ভারতকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল নেপাল

ভারতকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল নেপাল

সংগৃহিত ছবি।

বৃষ্টির কারণে সতীর্থরা যখন সবাই দল বেধে মাঠ ছাড়ছেন, রোহিত শর্মাকে তখন দেখালো বেশ চিন্তিত। চিন্তা করার মতো যথেষ্ঠ কারণও অবশ্য আছে। বৃষ্টির কারণে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ বাতিল হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই শঙ্কা। ভারত অধিনায়কের চিন্তার আরেকটি কারণ হতে পারে দলের ফিল্ডিং। বিশ্বকাপের আগে দলের এমন ছন্নছাড়া ফিল্ডিং যে কোনো দলের জন্যই চিন্তার কারণ হতে বাধ্য।

বোলিং নিয়েও চিন্তার সুযোগ রয়েছে রোহিত শর্মার। অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির নেপালকে অলআউট করতে ৪৯ ওভার পর্যন্ত বোলিং করতে হয়েছে ভারতকে। মাত্র দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নামা দলটি স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ২৩০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের কাছে লক্ষ্যটা ছোট মনে হতেই পারে। কিন্তু বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে পা হড়কানোর মতো জায়গাও রয়েছে ঢের।

পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপে ভারতের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও হানা দেয় বৃষ্টি। ম্যাচের বয়স তখন ৩৭.৫ ওভার। নেপালের সংগ্রহে তখন ৬ উইকেটে ১৭৮ রান। পুরো মাঠ ঢেকে রাখা হয় কভার দিয়ে। বৃষ্টির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকলেও কাটা হয়নি কোনো ওভার।

শক্তির বিচারে বলতে গেলে নেপালকে আরও আগেই গুটিয়ে দেওয়া উচিত ছিল ভারতের। এ নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে ভারত অধিনায়কেরও। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া দলটির শুরুটাই ছিল নড়বড়ে।

ভারতের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়ার সুযোগ নিয়ে ঝড়ো শুরু করে নেপাল। দশ ওভারেই তাদের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ৬৫ রান। ৫ ওভারের মধ্যে তিনবার কুশাল ভুর্তেলের ক্যাচ ছাড়েন ভারতীয় ফিল্ডাররা। সবগুলোই একেবারে সহজ ক্যাচ বলা যায়।

মোহাম্মাদ শামির করা প্রথম ওভারের শেষ বলে প্রথম স্লিপে সহজ ক্যাচ ছাড়েন শ্রেয়াস আয়ার। পরের ওভারের প্রথম বলে শর্ট কভারে আরও সহজ ক্যাচ ছাড়েন বিরাট কোহলি। বোলার মোহাম্মাদ সিরাজ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বিষ্ময় প্রকাশ করেন দলের অন্য খেলোয়াড়রাও। আর পঞ্চম ওভারে কিপার ইশান কিষানও ভুর্তেলের সহজতম ক্যাচটি গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি।

এরপর ভারতীয় বোলারদের উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চার-ছক্কা মারতে থাকেন ভুর্তেল। ভারতের মাথাভ্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই ওপেনারকে ফেরান শার্দুল ঠাকুর কটবিহাউন্ডের মাধ্যমে। ২৫ বলে দুটি ছক্কা ও তিন চারে ৩৮ রান করেন ভুর্তেল।

শুরুর জুটি ভাঙার পর দ্রুত তিন উইকেট তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ম্যাচে ফেরে ভারত। এরপর বড় জুটি গড়তে না পারলেও ছোট কিন্তু কার্যকর জুটি গড়ে নেপাল।