বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

প্রতিকী ছবি

সৌদি আরব ও রাশিয়া চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তেলের উৎপাদন স্বেচ্ছায় কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।

বুধবার এশিয়ার বাণিজ্যে দাম বৃদ্ধির এই বিষয়টি দেখা গেছে। এর আগের সেশনে তেলের দাম বেড়েছিল এক শতাংশের বেশি। মূলত সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দেয়ায় এই বৃদ্ধি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বার্তাসংসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৪ সেন্ট বেড়ে ৯০ দশমিক ১৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২ সেন্ট বেড়ে ৮৬ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়ায়।

বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গত সোমবার বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ০.৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৫.৫৩ ডলার, যা গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এক সপ্তাহে এই তেলের দাম বেড়েছে ৬.৭৬ শতাংশ। একইভাবে লন্ডনের ব্রেন্ট তেলের দাম গতকাল ০.২৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৮.৮১ ডলার, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে ৫.৮৪ শতাংশ। তেলের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রকাশও কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে বিনিয়োগকারীরা মনে করেছিল সৌদি আরব ও রাশিয়া অক্টোবরে তেলের উৎপাদন কমাতে পারে। কিন্ত তিন মাসের বিষয়টি তাদের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। কনসালটেন্সি রিস্টাড এনার্জির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ লিওন বলেন, তেলের উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপে চাপে পড়েছে তেলের বাজার। ফলাফল একটাই তা হলো দাম বেড়ে যাওয়া।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশে মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক নীতিতে এই কাটছাঁটের প্রভাব পড়বে তার পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। তবে মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও কঠোর আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে সংবাদমাধ্যম এসপিএ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে সৌদি আরব।

অনদিকে, রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়া এই বছরের শেষ পর্যন্ত দৈনিক ৩ লাখ ব্যারেল তেল কম রপ্তানি করবে।

এদিকে, আগস্ট মাসে চীনের শিল্পোৎপাদন অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে। দেশটির উৎপাদন সূচক চাঙ্গা। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হওয়ায় তেলের বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। অর্থাৎ চীনের তেলের চাহিদা বাড়বে, এই ধারণা থেকে দাম বাড়ছে।