লিবিয়ায় আশ্রয় শিবিরে বোমা হামলা, বাংলাদেশি শিশুসহ নিহত ৭, আহত ১৭

লিবিয়ায় আশ্রয় শিবিরে বোমা হামলা, বাংলাদেশি শিশুসহ নিহত ৭, আহত ১৭

ছবিঃ সংগ্রহীত

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বাস্তুচ্যুতদের এক আশ্রয়শিবিরে বোমা হামলায় বাংলাদেশি ৫ বছর বয়সী একটি শিশুসহ মোট ৭ জন নিহত হয়েছেন। লিবিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ রোববার এ কথা জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে তুরস্কের অনলাইন ডেইলি সাবাহ। এতে বলা হয়, হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৭ জন। এর মধ্যে রয়েছে নিহত ওই বাংলাদেশি শিশুটির পিতা (৫২) রয়েছেন। শনিবার দিনশেষে ত্রিপোলির ফারনাজ এলাকায় আশ্রয়হীনদের ওই শিবিরে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছেন রাজধানীর ফিল্ড মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টারের এক মুখপাত্র। ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) সরকার এবং পূর্বাঞ্চলীয় দখলদার জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। খলিফা হাফতারের বাহিনী চেষ্টা করছে ত্রিপোলির দখল নিতে। আর জিএনএ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

এই লড়াইয়ের সর্বশেষ বোমা হামলায় বাংলাদেশি ওই শিশুটি নিহত হয়েছে। খবরে বলা হয়, হামলার পর ওই আশ্রয়শিবিরের একাংশে আগুন ধরে যায়। তবে এই হামলার জন্য কোন পক্ষ দায়ী বিবৃতিতে সে বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। তবে পরে রোববার জিএনএন বাহিনী হামলার জন্য হাফতার বাহিনীকে দায়ী করেছে। জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে হাফতার বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি। লিবিয়ায় জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক অফিস এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ত্রিপোলির আইন জারা এলাকায় এর আগের হামলায় বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোকে রাখা হয়েছিল এখানে। তাদের ওপর হামলাকে ‘রিপালসিভ শেলিং’ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘের এই সংস্থা। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ স্বীকৃত জিএনএ সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হাফতার বাহিনী। এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তারা রাজধানী ত্রিপোলিতে ২৬ শে মার্চ অপারেশন পিস স্টর্ম শুরু করে। লিবিয়ার সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে সামনের দিকে অগ্রসর হলে মে মাসের শুরু থেকে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা জোরালো করেছে জেনারেল হাফতার। তাকে সমর্থন দিচ্ছে ফ্রান্স, রাশিয়া, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আরবের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশ। অন্যদিকে জিএনএ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক, ইতালি ও কাতার। ২০১১ সালে দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে।