আম্ফান মোকাবিলায় প্রস্তুত ১২ হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র

আম্ফান মোকাবিলায় প্রস্তুত ১২ হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র

ছবিঃ সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৯১ লাখ ৫৪ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে আশ্রয়কেন্দ্র সমূহে ২০ থেকে ২২  লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালে মানুষ ও গবাদিপশুর যাতে খাবারের কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য  উপকূলীয়সহ মোট ১৯টি জেলা- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুরের জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৫০ লাখ নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ টাকা, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২৮ লাখ টাকা এবং শুকনো ও অন্যান্য খাবার ৪২ হাজার প্যাকেট এরইমধ্যে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী আরো বরাদ্দ দেয়া হবে।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব ও সিনিয়র সচিব  এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।