পাকিস্তান নতুন সঙ্কট, ৬ নভেম্বর নির্বাচনের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির

পাকিস্তান নতুন সঙ্কট, ৬ নভেম্বর নির্বাচনের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির

সংগৃহীত

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি আগামী ৬ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়ে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে চিঠি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির এই একতরফা প্রস্তাবের ফলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সঙ্কট ঘনীভূত হলো। উল্লেখ্য, ইমরান খানের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ সরকার চাচ্ছে, আরো পরে নির্বাচন আয়োজন করতে। দেশটির নির্বাচন কমিশনও আরো পরে নির্বাচন আয়োজন করতে আগ্রহী। তারা নতুন জনশুমারি অনুযায়ী আসনবিন্যাস সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে। তবে ইমরান খানের দল পিটিআই দ্রুত নির্বাচন চায়। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানিয়েছিল।

বুধবার সিইসির কাছে এক চিঠি লিখে তিনি নতুন নির্বাচনের তারিখ প্রস্তাব করেন। চিঠিতে রাষ্ট্রপতি আরো উল্লেখ করেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী ৯ আগস্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, সংবিধানের ধারা ৪৮(৫)-এর আলোকে জাতীয় পরিষদ বিলুপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চিঠিতে ড. আলভি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য তিনি সিইসিকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সিইসি নির্বাচন আরো পরে করতে চান বলে জানিয়েছিলেন।

অধিকন্তু, তিনি একই দিনে পার্লামেন্ট এবং সকল প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন আয়োজন করার পরামর্শও দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বুধবারই পাকিস্তানের ফেডারেল ও প্রাদেশিক আইনমন্ত্রীরা নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রয়াসেই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ জোট সরকার মেয়াদ পূর্তির কয়েক দিন আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট মেয়াদ পূরণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। আর মেয়াদ পূর্তির আগে ভেঙে দেয়া হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা রয়েছে সংবিধানে।

আর ৯০ দিনের হিসাব করলে ৯ নভেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।

তবে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার আগে জোট সরকার সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের জনসংখ্যা ও গৃহ গণনার শুমারি অনুমোদন করে।

এর ফলে নতুন জনশুমারির আলোকে নির্বাচনী আসনবিন্যাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা করতে হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।

সূত্র : ডন, দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল