এডিসি হারুন ও সানজিদার বক্তব্য নিল তদন্ত কমিটি

এডিসি হারুন ও সানজিদার বক্তব্য নিল তদন্ত কমিটি

ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ও সানজিদা আফরিনের বক্তব্য নিয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতারাও কমিটিকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে কথা হয়নি কমিটির।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা, ভুক্তভোগী ছাড়াও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ও নিরাপত্তাকর্মীদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। বক্তব্য যাচাই–বাছাই ও ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে জানতে কাজ করছে কমিটি। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, হাসপাতাল থেকে নেয়ার পর শাহবাগ থানার ওসির কক্ষে আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করে পুলিশ। এডিসি হারুনের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েক পুলিশ সদস্য ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন। তবে ঠিক কতজন পুলিশ মারধরে অংশ নিয়েছিলেন, সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি কমিটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির একজন কর্মকর্তা শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বলেন, আগামী মঙ্গলবাবের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।

আহতদের সহপাঠী ও ছাত্রলীগ জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে নারী পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে ছিলেন। সানজিদার স্বামী বিসিএস কর্মকর্তা আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। এ সময় তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে বেদম মারপিট করা হয়।

এই ঘটনার জেরে রোববার প্রথমে এডিসি হারুনকে ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে সংযুক্ত করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। এরপর সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আবার রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর ডিএমপি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।