বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল শান্তিনিকেতন

বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল শান্তিনিকেতন

সংগৃহীত

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যস্থলে (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) স্থান পেল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারিভাবে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল বলেছে, ‘বাংলার জন্য গর্বিত মুহূর্ত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছে। সংস্কৃতি এবং মেধায় নোবেলজয়ীর যে অবদান রয়েছে, তাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল। চলুন, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করি।’

এর আগে এ বিষয়ে চলতি বছর রবীন্দ্রজয়ন্তীর পরের দিনই ইঙ্গিত দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি টুইটারে লিখেছিলেন, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে সারা দেশের জন্য সুখবর। শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’ 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব দিয়েছিল ইউনেস্কোর উপদেষ্টা সংগঠন ইকোমস। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং দেশের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের হয়ে শান্তিনিকেতনের জন্য দাবিপত্রটি সংরক্ষণ স্থপতি আভা নারায়ণ লাম্বাহ এবং মনীশ চক্রবর্তী মিলে তৈরি করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেড্ডি জানিয়েছিলেন, বিশ্বভারতী আনুষ্ঠানিক ভাবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ঠাঁই পেল কি না, তা সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে একটি সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছিলেন রেড্ডি। শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে সেই ঘোষণা করল ইউনেস্কো।

১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল এবং ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু। ১৯৫১ সালে এই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়। তবে গত কয়েক মাসে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর আগে এই রাজ্যের দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন এবং সুন্দরবন ইউনেস্কোর এই হেরিটেজ তালিকায় উঠে এসেছে। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং টয়ট্রেনের সঙ্গে নীলগিরি পাহাড় ও শিমলার রেলগাড়িও গৌরবের শরিক। আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে দুর্গাপূজাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এবার শান্তিনিকেতন। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে নিল।