পশ্চিমবঙ্গেও বাড়লো ডিমের দাম

পশ্চিমবঙ্গেও বাড়লো ডিমের দাম

প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশের মতো ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও ডিমের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা সব জায়গাতেই পড়েছে এর প্রভাব। এতে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ চিন্তিত।

পশ্চিমবঙ্গে আগস্টে প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ৫ দশমিক ৫০ রুপি। কিন্তু বর্তমানে প্রতি পিসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ রুপিতে। যে ডিমের দাম গত মাসেও জোড়া ১১ রুপি ছিল, সেই ডিম একমাসের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ রুপি। অর্থাৎ জোড়াপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৩ রুপি।

ডিমের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল উত্তর দমদমের সবিতা দাস জানান, ডিমের দাম এক এক দোকানে এক এক ধরনের। কোনো দোকানে ১৩ রুপি জোড়া বিক্রি হচ্ছে, আবার কোনো দোকানে সেই ডিম ১৪ রুপি। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে তবুও বেশি দাম দিয়ে ডিম কিনতে হচ্ছে।

খুচরা ডিম ব্যবসায়ী বাসন্তী মন্ডল জানান, বাইরের থেকে ডিমের গাড়ি এখন কলকাতা কম আসছে বলে দামটা একটু বেশি। সামনে দুর্গাপূজো। ফলে ডিমের দাম বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে।

তবে কলকাতার ডিমপট্টির ব্যবসায়ী বাবন দাস জানান, সচরাচর বাজারে পোল্ট্রি ডিমের ঘাটতি দেখা যায় না। তবে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পোল্ট্রি ফার্ম এসোসিয়েশনের নেতা গোবিন্দ দাস জানান, পূজার আগে এই সময় ডিমের দাম একটু বাড়তি থাকে। তবে ডিমের যত চাহিদা সেই তুলনায় উৎপাদন কম থাকায় হঠাৎ করে খুচরা বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে।

গোবিন্দ দাস আরও বলেন, পোল্ট্রি খাবারের মূল্য ও পরিবহন খরচ অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় ডিমের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশে প্রচুর ডিম রপ্তানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। চার প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চার প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি করা ডিম খুচরাপর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।