ধর্ষনের পর পাষন্ড সৎ পিতা হত্যা করলো কিশোরী আখিকে

ধর্ষনের পর পাষন্ড সৎ পিতা হত্যা করলো কিশোরী আখিকে

ধর্ষনের পর পাষন্ড সৎ পিতা হত্যা করলো কিশোরী আখিকে

যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল মথুরাপুর রেললাইনের পাশে অজ্ঞাত কিশোরীর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সৎ পিতা পালিত মেয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে। পরে ধর্ষক পিতাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বেলাল হোসাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ধর্ষক মিন্টু সরদার (৩৯) ঝিনাইদহ জেলা মহেশপুর থানার সলেমান সরদারের ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বেলাল হোসাইন বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাতমাইল মথুরাপুর মাঠে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত কিশোরী লাশ পড়েছিলো। জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে লাশের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করে। ডিবির এলআইসি শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম সোশাল মিডিয়া (ফেসবুক) এর মাধ্যমে পরিচয় সনাক্তের জন্য প্রচার করলে নিহতের পরিচয় সনাক্ত হয়। সংবাদ পেয়ে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টিম ভিকটিমের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর গ্রামে গিয়ে ঘাতক ভিকটিম আখি মনি'র পালিত পিতা মিন্টু সরদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিন্টু হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য প্রদান করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে যশোর রেল ষ্টেশন সংলগ্ন হোটেল বৈকালী আবাসিকে অভিযান পরিচালনা করে হোটেল রেজিষ্ট্রারের পাতা জব্দ করে এবং মহেশপুর দাড়িয়াপুর গ্রামে আসামীর বসতবাড়ী থেকে ভিকটিম আখি মনির ব্যবহৃত পায়েল (নুপুর), নগদ দুই হাজার টাকা জব্দ করেন অভিযানিক টিম।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,  ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবারে ভিকটিম আঁখি মনি কে তার পালিত পিতা চৌগাছা বলুহ দেওয়ানের মেলায় যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে মেলায় ঘুরাঘুরি শেষে পরের দিন রোববার যশোর রেল ষ্টেশনে পৌছাইয়া হোটেল বৈকালী আবাসিকে ডি-৫ নং রুমে উঠে এবং সেখানে ভিকটিম আখি মনির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে তার পালিত পিতা মিন্টু। পরে ঐ দিন রাতে ট্রেন যোগে বাড়ি ফেরার সময় রাতে যশোর রেল ষ্টেশনের পাশে ঝুপঝাড়ের মধ্যে পুনরায ধর্ষণ করে। রাত ১১ টায় সময় সীমান্ত এক্সপ্রেস যোগে বাড়ি ফেরার পথে  ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চলন্ত ট্রেনে গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চলন্ত ট্রেন থেকে থাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় এবং ভিকটিমের পায়েল (নুপুর) ২টি সিগারেটের প্যাকেট ভর্তি করে আসামির বসতঘরের পাশে আবর্জনার মধ্যে পুতে রাখে।