জান্নাত-জাহান্নাম মানুষের কতটা কাছে, যা বলেছেন মহানবী

জান্নাত-জাহান্নাম মানুষের কতটা কাছে, যা বলেছেন মহানবী

সংগৃহীত

জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাস একজন মুমিনের একান্ত কামনা বাসনার বিষয়। একজন মুসলিম চাইলে সহজেই জান্নাতে যাওয়ার মতো আমল করতে পারে আবার একেবারে অল্প কারণেই জাহান্নামের যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এজন্য যেকোনো কাজের আগে একজন মুমিনের ভেবেচিন্তে কাজ করা উচিত।

হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাত তোমাদের কারো জুতোর ফিতার চেয়েও বেশি কাছে এবং জাহান্নামও এমনই।’ (সহিহ বুখারী, হাদিস, ৬০৩৮)

এই হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে , জান্নাত ও জাহান্নাম মানুষের পায়ে হেঁটে চলা রাস্তার মতোই খুব কাছেই। কারণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার উদ্দেশ্যে মানুষ এমন কোনো ভালো আমল করল এবং সে এর মাধ্যমে ধারণাও করেনি যে, তা তাকে কোথায় পৌঁছাবে, কিন্তু দেখা গেল এই আমল তাকে চিরস্থায়ী জান্নাতে পৌঁছে দিলো।

আর কোন সময় এমন একটি অপরাধ করল, যার প্রতি সে ভ্রুক্ষেপও করেনি, অথচ তা এমন গুরুতর ছিলো যে, এই অপরাধ আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হলো, ফলে এই অপরাধের কারণে সে জাহান্নামের এতো এতো বছরের দূরত্বে নিক্ষিপ্ত হলো অথচ সে জানে না।  

অর্থাৎ, প্রকৃত ইসলামের আলোকে সৎ উদ্দেশ্য এবং সৎ কাজের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা একেবারে সহজ। একইভাবে পাপ ও কুপ্রবৃত্তির অনুসরণের মাধ্যমে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাও একেবারে সহজ।

তাই সৎ কাজের ক্ষুদ্রতম অংশকেও তুচ্ছ মনে করা উচিত  নয়। একইভাবে পাপ এবং কুপ্রবৃত্তির সামান্য পরিমাণ অংশকেও হেয় মনে করা উচিত নয়।

কারণ, মানুষ তো জানে না যে, তার কোন ভালো কাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন। এবং তার কোন পাপ এবং কুপ্রবৃত্তির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার প্রতি রাগান্বিত হয়ে যাবেন।