যে দোয়ার নেকি লিখতে ফেরেশতারা প্রতিযোগিতা করেন

যে দোয়ার নেকি লিখতে ফেরেশতারা প্রতিযোগিতা করেন

সংগৃহীত

নামাজে রুকু থেকে উঠার সময় ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলার পর একটি দোয়া আছে, যেটি নামাজে এক সাহাবি পড়েছিলেন। ফেরেশতারা তখন নেকি লেখার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। দোয়াটি হলো—حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ (হামদান কাসিরান তায়্যিবান মুবারাকান ফীহি) অর্থ: ‘তোমারই জন্য অধিক, বরকতময় ও উত্তম প্রশংসা।’

এ দোয়াটির ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, রিফাআহ ইবনু রাফি জুরাকি (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবী (স.)-এর পেছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি যখন রুকু হতে মাথা উঠিয়ে سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বললেন, তখন পেছন হতে এক সাহাবা رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করলেন। সালাত শেষ করে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে এরূপ বলেছিল? সেই সাহাবি বললেন, আমি। তখন তিনি (স.) বললেন, আমি দেখলাম এর সওয়াব কে আগে লিখবেন তা নিয়ে ৩০ জনের অধিক ফেরেশতা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। (সহিহ বুখারি: ৭৯৯)

পড়ার নিয়ম
‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ বলে রুকু থেকে দাঁড়ানোর পর দোয়াটি পড়বেন। এরপর সেজদায় যাবেন। ইমামের পেছনে যখন জামাতের সাথে সালাত আদায় করবেন, তখনও এটি পড়তে পারেন।

রুকু থেকে উঠার সময় ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলার পর দোয়াটি পড়া মোস্তাহাব। একইভাবে দুই সেজদার মাঝখানে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহদীনী ওয়াআফীনী ওয়ারজুকনী’ পড়াও মোস্তাহাব। নবীজি (স.) সেজদায় যতক্ষণ সময় ব্যয় করতেন দু’সেজদার মাঝখানে ঠিক ততখানি সময়ই বসতেন। এ সময় তিনি পড়তেন—اللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ، وَارْحَمْنِيْ، وَاهْدِنِيْ، وَعَافِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ 

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহদীনী ওয়াআফীনী ওয়ারজুকনী’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো, রহম করো, হেদায়াত দান করো, নিরাপত্তা দান করো এবং রিজিক দান করো।’ (মেশকাত: ৮৯৩)

আসুন, আমরা এ ছোট্ট দুটি আমলের মাধ্যমে আমাদের নামাজকে আমরা আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলি এবং অনেক বেশি নেকি অর্জন করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।