ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে: যুবরাজ সালমান

ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে: যুবরাজ সালমান

সংগৃহীত

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় সৌদি আরব এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন আমরা আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছি। আশা করি, আমরা এমন এক জায়গায় পৌঁছাতে পারব যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।  দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে পৌঁছতে কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ- এই প্রশ্নে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, এক্ষেত্রে ফিলিস্তিন ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের সমাধান করতে হবে।

ওই সাক্ষাৎকার মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হয়ে যায় তাহলে সৌদি আরবও তা চাইবে।

যদিও এরই মধ্যে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঐতিহাসিক চুক্তিকে সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে ফিলিস্তিন। তাদের শর্ত মেনে নিলে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মেনে নেবে বলে জানিয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা রিয়াদে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতার জন্য চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘দেশটি নিশ্চয়তা দেবে এবং এতে একটি বড় ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি থাকবে’ ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এটি অর্জন করতে চায় রিয়াদ।

মধ্যপ্রাচ্যের সম্পর্কের ঐতিহাসিক পুনর্বিন্যাসের সুযোগ থাকায় যে কোনো চুক্তির জন্য এমন ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় মার্কিন কূটনীতি গতি পেয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে সৌদি আরবকে রাজি করতে গত জুনে তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। আলোচনার বড় অংশজুড়ে ছিল সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি। 

ওই বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ২ পক্ষ একমত হয়। সৌদি আরব নিজেদের বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্প চালু, এর বাস্তবায়নে মার্কিন সহযোগিতা ও এ-সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে। বৈঠকে সুদান ও ইয়েমেনে সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টার ওপরও আলোকপাত করেন।

ওয়াশিংটন মনে করে, কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে এবং এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান রুশ ও চীনা আধিপত্য কমবে।