পাবনা তিনদিনব্যাপী অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান উৎসব চলছে

পাবনা তিনদিনব্যাপী অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান উৎসব চলছে

পাবনা তিনদিনব্যাপী অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান উৎসব চলছে

“ম’রো না, মেরো না, যদি পার মৃত্যুকে অবলুপ্ত কর”, “ঐ তিনি যখন যেখানে আবির্ভূত হন সে স্থানই মানুষের পরমতীর্থ” শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের এমন অসংখ্য বাণী ধারণ করে পাবনা হিমায়েতপুরে অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান উৎসব চলছে। এ উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে প্রায় ৪০ হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় মাতৃসম্মেলন। তিন দিনের মহোৎসবে রয়েছে, সমবেত প্রার্থণা, সদগ্রন্থাদি পাঠ, নাম-ধ্যান, ভক্তিসংগীত, ‍যুব সম্মেলন, ঋত্বিক সম্মেলন, মাঙ্গলিকা ঊষাকীর্তন, আবির্ভাবলগ্নের প্রণাম ও অর্ঘাঞ্জলী অর্পন, ঠাকুরের জন্ম স্থান প্রদক্ষিণ, ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান, কিশোরমেলা, ভক্তিগীতি, লোকরঞ্জনসহ নানা কর্মসূচি। এছাড়াও ভক্তদের মধ্যে আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় আয়োজন করা  হয় ধর্ম আলোচনা সভা।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহোৎসবের উদ্বোধন করবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার রায়।

আশ্রমের প্রচার সম্পাদক হিরন্ময় ঘোষ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঠাকুরের ভক্ত অনুসারীরা এসেছেন।  দেশের বাইরে থেকেও ঠাকুর ভক্তরা এসেছেন। তিনদিনব্যাপি অনুষ্ঠানে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রায় ৪০ হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগমে ভক্তবৃন্দ যেন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে সে জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং ফায়ার সার্বিকের কর্মিরা কাজ দায়িত্ব পালন করছেন।