নোয়াখালীতে বিপুল পরিমান নকল আকিজ বিড়ি জব্দ; জরিমানা আদায়

নোয়াখালীতে বিপুল পরিমান নকল আকিজ বিড়ি জব্দ; জরিমানা আদায়

ছবি: প্রতিনিধি

নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল আকিজ বিড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার সুধারাম মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় এক ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নোয়াখালী জেলখানায় নকল আকিজ বিড়ি সরবরাহকালে আবুল খায়ের কোম্পানীর এসআর জয়নাল নামে একজনকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে ত্রিশ হাজার (৩০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়।

আবুল খায়ের কোম্পানীর এসআর জয়নাল জানান, ঢাকা স্টোরের মালিক মোঃ হাসান তার মাধ্যমে নোয়াখালী জেলখানায় নকল আকিজ বিড়ি সরবরাহ করে থাকে।

আবুল খায়ের কোম্পানীর এসআর জয়নাল এর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সুধারাম মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর সুপার মার্কেটের কয়েকটি হোলসেলস দোকানে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এসময় ঢাকা স্টোরের মালিক মোঃ হাসানের দোকান থেকে ত্রিশ হাজার (৩০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়। দুই দফা অভিযানে সর্বমোট ষাট হাজার (৬০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়।

অভিযান কালে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। অভিযান শেষে জব্দকৃত নকল বিড়ি জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে পুলিশ সদস্যরা।

অভিযানে নকল আকিজ বিড়ি বিক্রেতা হোল সেলস দোকানদার হাসানের নিকট থেকে পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) টাকা নগদ জরিমানা আদায় করে পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া পুলিশ প্রসাশন, স্থানীয় কমিশনার ও আওয়ামীলীগের নেতাদের উপস্থিতিতে হোল সেলস দোকানদার হাসান এবং আবুল খায়ের কোম্পানীর এসআর জয়নাল আর কখনো নকল বিড়ি বিক্রি ও মজুদ না করা শর্তে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেয়। ভবিষ্যতে নকল বিড়ি বিক্রি করলে মামলা দেওয়ার হুশিয়ার দেয় পুলিশ।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়া, পাবনা, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নকল বিড়ি নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে। নকলের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট বিভাগ এবং পুলিশের অভিযান ও তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল। একইসাথে অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তারা।