এবার লাইবেরিয়ার বিরুদ্ধে ভিসানীতি ঘোষণা আমেরিকার

এবার লাইবেরিয়ার বিরুদ্ধে ভিসানীতি ঘোষণা আমেরিকার

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

এবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই ভিসানীতি ঘোষণা করেন। 

জানা গেছে, লাইবেরিয়ায় জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। তার আগে বিশ্বজুড়ে এবং লাইবেরিয়াতে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে সমর্থন করতে  প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ঘোষণা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, লাইবেরিয়াতে যারা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করছেন তাদের জন্য ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টেও ২১২(এ)(৩)(সি) ধারার অধীনে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করছে আমেরিকা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ভিসানীতি কার্যকর হবে। 

এতে বলা হয়, যারা লাইবেরিয়ায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি বা ভোট কারচুপি করবে, জনগণের শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশের অধিকার চর্চা প্রতিরোধে সহিংসতা ব্যবহার করবে, রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজকে প্রতিরোধ করতে ব্যবস্থা নেবে, মিডিয়াকে তার মত প্রকাশে বাধা দেবে, নির্বাচনের ফলাফলে অন্যায় প্রভাব বিস্তারে অন্য যেকোনো রকম উপায় অবলম্বন করবে এবং এসব ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী হবেন যেসব ব্যক্তি বা জড়িত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে এই ভিসানীতি। 

এসব ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও এই ভিসানীতির আওতায় পড়বেন। 

লাইবেরিয়ার ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালে এবং পরে যারা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করবে সেইসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ভিসা পেতে অযোগ্য হতে পারেন। এই ভিসানীতি শুধু লাইবেরিয়ার জনগণ বা সরকারকে উদ্দেশ্য করে নয়, সুনির্দিষ্ট করে যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগ হতে পারে। লাইবেরিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে  সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তারই প্রতিফলন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা। দেশটির জনগণের ইচ্ছা এবং সেখানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করাই এর উদ্দেশ্য। 

সূত্র: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট