বিরামপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

বিরামপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

ছবিঃ সংগৃহীত।

দিনাজপুরের বিরামপুরে সালিশী বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ওয়াসিম আলী (৩৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও দুইজন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাত জনকে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ওয়াসিম খানপুর এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে। আর আহতরা হলেন একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৩২), দবিরুল ইসলাম (৩৬)।

নিহত ওয়াসিমের চাচাতো ভাই দবিরুল ইসলাম জানান, ওয়াসিমের ছোট বোনকে খোশলপুর গ্রামের সেলিম রানা অকারণে মারধর করে। এ নিয়ে গ্রামে বিচার সালিশ ডাকা হয়। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় সালিশে অংশগ্রহণ করি আমরা। এ সময় কথা কাটাকাটির মাঝে ফরমান আলীর ছেলেরাসহ বেশ কিছু লোক আমাদের ওপর আক্রমণ করে। এসময়ে ওয়াসিম আলীর বুকে ছুরি লাগে।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফাহমিদা আক্তার বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছে। অন্য দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে বিরামপুর বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার এঁর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামে পারিবারিক সালিশ বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। এসময় দুই পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই প্রতিপক্ষরা একজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। আহতাবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কত্যর্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে নিহতের পিতা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন । অভিরোগের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।।