৬ মাসের জন্য শিল্প ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ১০.২০% নির্ধারণ

৬ মাসের জন্য শিল্প ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ১০.২০% নির্ধারণ

৬ মাসের জন্য শিল্প ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ১০.২০% নির্ধারণ

অক্টোবর মাস থেকে ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১০ দশমিক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র।

যে পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে এখন সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটি ‘স্মার্ট’ বা ‘ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের মুভিং এভারেজ রেট’ নামে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ হারের কথা জানায়।নতুন সুদের হার নির্ধারণের পদ্ধতিটি ২০২৩ সালের ১ জুলাই চালু করা হয়েছিল।এর আগে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ছিল ৯ শতাংশ।সে অনুযায়ী চলতি অক্টোবর মাসে বড় আকারের শিল্প ঋণে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ সুদ নিতে পারবে।

অন্যদিকে, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করে ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারে। তাদের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ১২ দশমিক ২০ শতাংশ এবং আমানতের উপর ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে অক্টোবরে নির্ধারিত ঋণের সুদের হার আগামী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে না।

এর ফলে সেপ্টেম্বরে কৃষি ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণের উপর অতিরিক্ত ১ শতাংশ তত্ত্বাবধান চার্জ ধার্য করা যেতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদের হার প্রকাশ করেছে।

গত জানুয়ারিতে স্মার্ট রেট ছিল ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এরপর প্রতি মাসে তা ধীরে ধীরে বেড়ে গত মে মাসে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশে পৌঁছে। কিন্তু জুন ও জুলাইয়ে তা কিছুটা কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে আগস্টে তা বেড়ে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ২০ শতাংশে পৌঁছেছে।আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারভিত্তিক সুদের হার ব্যবস্থা চালু করেছে।ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ৯ শতাংশ সুদের হারের সীমা আরোপ করা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গবেষণা প্রতিবেদনেও সুদের হার সীমা প্রত্যাহার বা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার ইতিবাচক সম্মতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক নীরব ছিল।আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের একটি শর্ত হলো সুদের হার বাজারভিত্তিক করা। সেই শর্তের আলোকে নতুন সুদের হার ব্যবস্থা চালু করা হয়।

সূত্র : ইউএনবি