ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে আরো দুই শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে আরো দুই শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে আরো দুই শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের পৃথক ঘটনায় এবার আরো দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আরো তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলীনা নাসরীন এসব তথ্য জানান।

সভা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে। প্রথমে ওই শিক্ষার্থী বাবা রেজিস্ট্রার বরাবর ই-মেইলে অভিযোগ করেন। পরে প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ছাত্র। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, গত ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা সালমান আজিজ ও আতিক আরমানকে সতর্ক করা হয়েছে। কাব্যকে এর আগেও পৃথক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও মিটিংয়ে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেজুলেশনের কাজ সম্পন্ন হলে জড়িতদের চিঠি পাঠানো হবে।

এদিকে, র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে বহিষ্কারের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিযুক্তদের সহপাঠীরা। তারা বিকেল চারটায় প্রধান ফটক অবরোধ করেন। ফলে বিকেল চারটায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গাড়ি ছেড়ে যেতে পারেনি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। তাদের দাবি, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ না দিয়েই বহিষ্কার করা হয়েছে, এটি অযৌক্তিক। তারা অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।এ বিষয়ে বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন বলেন, এখনো রেজুলেশন হয়নি। তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে। নোটিশ পাওয়ার আগেই বিক্ষোভ অযৌক্তিক।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে নবীন এক ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে সম্প্রতি পাঁচ ছাত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।