পিছিয়ে যেতে পারে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি

পিছিয়ে যেতে পারে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ হয়নি ঠিক।

তবে অন্যান্য শর্ত বাস্তবায়ন এবং বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় নিয়ে আশাবাদী সরকার। শর্ত পরিপালনে ঘাটতি থাকায় দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছে আইএমএফের একটি মিশন। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্থার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে আজ বুধবার থেকে তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করবেন।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের সঙ্গে টানা ১৬ দিনের সিরিজ বৈঠক চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এসব বৈঠকে গত জুন পর্যন্ত শর্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হবে। আজ প্রথম দিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, আইএমএফ চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৭০ কোটি ডলার ছাড় করার কথা রয়েছে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে তাদের দেওয়া শর্ত বাস্তবায়নের অর্থগতি পর্যবেক্ষণেই ঢাকায় আসছে আইএমএফ মিশন।

২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা আইএমএফের। এই ঋণ নিতে ছোট-বড় ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে।

শর্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী গত জুনের শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা ছিল। জুনে নিট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার।

একই সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৩ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে আইএমএফ। এ ক্ষেত্রে এনবিআর রাজস্ব আহরণ করেছে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল