যশোর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে এক সাথে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা

যশোর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে এক সাথে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা

যশোর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে এক সাথে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা

 দীর্ঘ আট বছর পর এক সাথে ৪ সন্তানের মা হলেন চুয়াডাঙ্গার তহমিনা খাতুন (২৬)।বুধবার (৪ অক্টোবর)  যশোর ১৫ রেল রোডস্থ আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ২ পুত্র এবং ২ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এই মা। 

তহমিনা চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার হাশাদা শুটিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের স্ত্রী।বর্তমানে সন্তানগুলো একই হাসপাতালের এনআইসিইউ এবং মা পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তহমিনা খাতুন জানান, ২০১৫ সালে বিবাহ হয় তার। বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ১ম গর্ভবতি হন। আড়াই মাস পর সেটি গর্ভপাত হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়ে আট বছর আবার গর্ভবতি হন তহমিনা। আল্ট্রাসনোগ্রামে প্রথমে তিনটি সন্তানের কথা ডাক্তার বলেছিলেন। পরবর্তিতে ৪টি সন্তান নিশ্চিত করেন। গর্ভধারণের পর থেকে আদ্-দ্বীন হাসপাতালে নিয়মিত চেকআপ করে আসছিলেন।

আদ্-দ্বীন হাসপাতালের উপ-পরিচালক এবং গাইনী চিকিৎসক ডা. শীলা পোদ্দার বলেন, মিসেস তহমিনা প্রথম থেকেই আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। আদ্-দ্বীন হাসপাতালের জন্য এটি প্রথম ঘটনা যে ৪টি সন্তান এক সাথে ডেলিভারি হলো। ৩ অক্টোবর পেটে ব্যাথা অনুভব হলে হাসপাতালে ভর্তি হন তহমিনা। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব ব্যাথা ওঠাই ৪ অক্টোবর বুধবার সিজারিয়ানের মাধ্যমে নবজাতকগুলো ভূমিষ্ট হয়। বিভিন্ন জটিলতা থাকা সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে ডেলিভারি সম্পন্ন করতে সক্ষম হই। ডেলিভারির পর যেহেতু নবজাতকগুলো ওজন কম ছিল, তাই আমরা আমাদের এনআইসিইউ ওয়ার্ডে নিবিড় পরিচর্যায় রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি।

এ ব্যাপারে এনআইসিইউ ওয়ার্ডের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কিশোর কুমার বিশ্বাস জানান, ৪টি বাচ্চা আসলে ওজন কম এবং সময়ের বেশ আগে জন্ম গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে একটি বাচ্চার ওজন খুবই কম ৯শ’ গ্রাম মাত্র। এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের তাপমাত্রা ঠিক রাখাসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর চিকিৎসা চলমান। তিনি বলেন, এর আগে আমরা এখানে এক সাথে জন্ম নেয়া ৩টি বাচ্চা চিকিৎসা দিয়ে সফল হই। এই বাচ্চাগুলোর ব্যাপারেও আমরা আশাবাদি যে, তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারবে।

তবে বাচ্চাগুলোর পরিবার নিম্নবিত্ত হওয়ায় তাদের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। তারা সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন।