নটোরের বাগাতিপাড়ায় স্কুলছাত্র খুন

নটোরের বাগাতিপাড়ায় স্কুলছাত্র খুন

ছবিঃ সংগৃহীত।

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দিদারুল ইসলাম ওরফে মাহফুজ (১৮) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের দেবনগর খ্রিস্টানপাড়া আমবাগান থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায়।

নিহত মাহফুজ উপজেলার চকগোয়াশ এলাকার ইজিবাইক মিস্ত্রি দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে তকিনগর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কারিগরি শাখার দশম শ্রেণির জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ট্রেডের ছাত্র ছিল। সংসারের হাল ধরতে মাঝে মধ্যে সে অটো (ইজিবাইক) চালাত।

মাহফুজের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি ভাড়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী পল্লবের অটো (ইজিবাইক) ধার নিয়ে বের হয়। পরে রাতে আর ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বারবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা দেবনগনর খ্রিস্টানপাড়া এলাকার আমবাগানে মুমূর্ষু অবস্থায় মাহফুজকে পড়ে থাকতে দেখেন। সে সময় স্থানীয়দের কাছে মাহফুজ তার বাবার নাম বলেছিল। এরপর তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই অটোচালক সাকিব জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাহফুজের জামনগর থেকে বনপাড়া পর্যন্ত একটি রিজার্ভ ভাড়া ছিল বলে তাকে মাহফুজ জানিয়েছিল। ওই ভাড়ার জন্য যাত্রী তাকে দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল।

তিনি ধারণা করেন, মাত্র ৫০০ টাকার ভাড়া হলেও অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হতে পারে।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মাথায় ও কানের পাশে ভোতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। তার অটো এবং মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে।