সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে ১৫৬ রানে অলআউট আফগানিস্তান

সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে ১৫৬ রানে  অলআউট আফগানিস্তান

সংগৃহীত

শুরুটা যেভাবে করেছিল আফগানিস্তান, তাতে খানিকটা ভড়কে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দক্ষ অধিনায়কের মতো তা সামলে নেন সাকিব আল হাসান। সামনে থেকেই দেন নেতৃত্ব, দলকে করে তুলেন উজ্জীবিত। আর এতেই ১৫৬ রানের অলআউট হয় আফগানিস্তান।

নিজেদের ফিরে পেয়ে বেশ বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন টাইগারর বোলাররা। আফগানদের আর সুযোগ দেননি ম্যাচে ফেরার। ২ উইকেটে ১১২ রান থেকে ১৫৬ রানের অলআউট হয় আফগানিস্তান। অর্থাৎ ৪৪ রান করতেই শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা।

ধর্মশালার নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামে অবশ্য সকালটা নিজেদের মতো করেই নিয়ন্ত্রণ করে আফগানিস্তান। প্রথম উইকেট হারানোর আগ পর্যন্ত উপহার দিতে থাকে সাহসী ক্রিকেট। তবে বিপদ বেড়ে যাবার আগেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব।

ইবরাহীম জাদরানকে ফিরিয়ে প্রথম উপলক্ষ এনে দেন সাকিব। ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে জাদরান ফেরেন ২৫ বলে ২২ করে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায়, সুযোগ দেননি সাকিব। তিনে নামা রহমত শাহকে ১৮ রানে বোকা বানান টাইগার দলপতি।

৮৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে আফগানরা। যা বাড়িয়ে দেন হাশমতুল্লাহ শাহিদি। তাকে দিয়ে গুরবাজের উপর চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। যেই চাপ নিতে পারেননি গুরবাজ। মোস্তাফিজের বলে আউট আউট হন ৬২ বলে ৪৭ করে, ২৫.২ ওভারে।

আগের ওভারেই অবশ্য মেহেদী মিরাজ ফেরান আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহকে। ৩৮ বলে ১৮ করে আউট হন এই ব্যাটার। এই দুই ওভারে কোনো রান বের করতে পারেনি আফগানিস্তান। চাপের মাঝে তাদের আরো চেপে ধরেন সাকিব, নাজিবুল্লাহ জাদরানকে (৫) ফেরান তিনি।

তালে তালে যেন নিজেকে ফিরে পান তাসকিন। ৩০তম ওভারে এসে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন তিনি। মোহাম্মদ নাবির (৬) স্ট্যাম্প ভাঙেন এই পেসার। ২৫ থেকে ৩০, এই ৬ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে তখন ৩০ ওভারে ১২৬/৬।

এরপর আজমতুল্লাহ ওমরজাই চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। নিজেও পারেননি ইনিংস বড় করতে। রশিদ খান ১৬ বলে ৯ করে মেহেদী মিরাজের শিকার হন। ১৫০ রানে ৭ উইকেট হারায় আফগানরা।

২২ রান করে শরিফুলের বলে স্ট্যাম্প উড়ে ওমরজাইয়ের। ১৫৬ রানে তিনি ফেরার পর শেষ দুই উইকেটে আর কোনো রান নিতে পারেনি দলটি। ৩৭.২ ওভারেই গুঁটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। সাকিব ও মিরাজ নেন সমান ৩ উইকেট, জোড়া উইকেট শরিফুলের।