আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়ে তৃতীয় টার্মিনালের মতো সুদৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে জাপান : ভাইস মিনিস্টার

আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়ে তৃতীয় টার্মিনালের মতো সুদৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে জাপান : ভাইস মিনিস্টার

আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়ে তৃতীয় টার্মিনালের মতো সুদৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে জাপান : ভাইস মিনিস্টার

জাপান বলেছে, এ অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের 'শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির' স্বার্থে ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের মতো সুদৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে তারা।শনিবার (৭ অক্টোবর) জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার কোমুরা মাসাহিরো বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটনবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার উয়েহারা আতসুশি; বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স বলেন, 'এইচএসআইএ তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের জন্য আমি অভিনন্দন জানাতে চাই। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যা উভয় দেশের পতাকার প্রতীক।

চলতি বছরের এপ্রিলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' শুরু করেন।তিনি বলেন, ‘নতুন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সহযোগিতা এবং সম্ভাব্য ইপিএর দিকে যৌথ গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট ইনিশিয়েটিভের আওতায় জাপান ঢাকা মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এবং ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রধান অবকাঠামো উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে একটি সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হয়, যার জন্য উভয় দেশ ইচ্ছুক। এটি মানব ট্র্যাফিককে আরও শক্তিশালী করবে এবং জাপানি সংস্থাগুলোর বিনিয়োগের আরও সম্প্রসারণে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : ইউএনবি