ফরিদপুরের ঘূর্ণিঝড়ে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অসহায় পরিবার

ফরিদপুরের ঘূর্ণিঝড়ে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অসহায় পরিবার

ছবিঃ সংগৃহীত।

ফরিদপুরের সালথায় ঘূর্ণিঝড়ে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন- রাত যাপন করছেন অসহায় হোসেনয়ারা বেগম (৪৫)। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঘূর্ণিঝড়ে কেড়ে নিয়েছে অসহায় এর মাথা গোঁজার ঠাঁই। তিনি উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী চর পাড়া গ্রামের মৃত রায়েব আলী মোল্লার স্ত্রী। ঝড়ের আঘাতে নারকেল গাছ তার ঘরের উপর পড়লে ঘরটি ভেঙ্গ যায়।

হোসেনয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামী ছোট ছোট ৪টি বাচ্চা রেখে অনেক আগে মারা গেছেন। অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে। নিরুপায় হয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছি। ভাঙ্গা ঘর মেরামত করবো সেই টাকা আমার কাছে নেই। খবর পেয়ে গতকাল মেজর হালিম সাহেব এসে চাল, ডাল, তেল, লবণ ও নগদ কিছু অর্থ দিয়ে গেছেন। তাছাড়া কোন সাহায্য সহযোগিতা পাই নাই। আমার এই ঘর মেরামত করার জন্য আমি সকলের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।

এই বিষয়ে বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, গ্রামের একপাশে হওয়ায় ঐ মহিলার বাড়ি কারো চোখে পড়ে নাই। বিষয়টি আমি জানতে পেরে খোঁজ খবর নিয়েছি। ঐ মহিলাকে ঘর তোলার জন্য সহায়তা করা হবে। সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যানের ও গ্রাম পুলিশের সাথে কথা বলে যাচাই করে বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য ফরিদপুরের সালথায় ভারি বর্ষণের মধ্যে মাত্র তিন মিনিটের আকস্মিক ঝড়ে ২৫টি কৃষক পরিবারের অন্তত ৩০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে অন্ধকার হয়ে গেছে পুরো একটি গ্রাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে ভয়াবহ ঝড়ে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।