যতক্ষণ স্বাধীনতা না পাবো, ততক্ষণ যুদ্ধ চালিয়ে যাব: হামাস

যতক্ষণ স্বাধীনতা না পাবো, ততক্ষণ যুদ্ধ চালিয়ে যাব: হামাস

সংগৃহীত

গত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়েছে হামাস। এ হামলার বিষয়ে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-অরোরি বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য তার দল যুদ্ধ শুরু করেছে। আর এই যুদ্ধের সবচেয়ে বাজে পরিণতির জন্যও প্রস্তুত রয়েছে হামাস।

শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

হামাসের উপপ্রধান বলেন, এটা (হামলা-পাল্টা হামলা) কোনও অভিযান নয়; আমরা সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছি। আমরা আশা করছি, যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে এবং লড়াইয়ের পরিধি প্রসারিত হবে। আমাদের একটি প্রধান লক্ষ্য আছে: আমাদের স্বাধীনতা এবং আমাদের পবিত্র স্থানগুলোর স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং তাদের পবিত্র স্থানগুলোকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত বিজয়, স্বাধীনতার পুরস্কার না পাবো, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাব।

সালেহ আল-অরোরি বলেন, চলমান এই যুদ্ধের সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা একটি (ইসরায়েলি) স্থল আক্রমণের জন্যও প্রস্তুত রয়েছি। ইসরায়েল বর্তমানে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি আলজাজিরাকে বলেছেন, গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিরা যে নৃশংসতার মুখোমুখি হয়েছে, তার জবাবেই হামাস সামরিক অভিযান শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা গাজা উপত্যকায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ও আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতার অবসানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা চাই। এই লড়াই শুরুর পেছনের কারণ এসবই।

শনিবার সকালে গত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালায় হামাস। এ আক্রমণে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে বলে জানিয়েছে হামাস।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নিরাপত্তা ক্যাবিনেটের বৈঠকের বক্তৃতায় তিনি বলেন, তার সেনাবাহিনীর প্রথম লক্ষ্য হলো ‘অনুপ্রবেশ করা শত্রুবাহিনীর স্থানগুলো পরিষ্কার করা এবং আক্রমণের মুখে পড়া সেটেলমেন্ট এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি পুনরুদ্ধার করা।’ আর একইসাথে দ্বিতীয় লক্ষ্যটি হলো শত্রুদেরকে এবং গাজা উপত্যকাকে বিশাল মূল্য চোকাতে বাধ্য করা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার সংঘাত বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। এক বিবৃতিতে এটি বলেছে, ফিলিস্তিনের মানুষদের ওপর চলমান সহিংসতাকে বাড়িয়ে তুলতে কেবল ইসরায়েল দায়ী।

তবে কাতার দুই পক্ষকেই সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া এ ধরনের ঘটনাকে ওজর করে ইসরায়েল যেন গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অতিমাত্রায় যুদ্ধ শুরু না করে তা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে দেশটি।

মিশর ও তুরস্কও ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।