ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০, ফিলিস্তিনে ২৩২

ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০, ফিলিস্তিনে ২৩২

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৫২ জন। এর মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং ২৬৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি।

ইসরায়েলের কট্টরপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। হামলায় অন্তত এক হাজার ইসরায়েলি আহত হয়েছে।

রকেট হামলার পাশাপাশি হামাসের বেশ কিছু সশস্ত্র সদস্য তাদের নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার পাশের ইসরায়েলি জনপদে ঢুকে পড়ে হামলা চালা। তারা সেনাসহ বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে জিম্মি করারও দাবি করেছে।

এদিকে হামাসের এ হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৭ জন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, শনিবার ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। ২০ মিনিটে ইসরায়েলে ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভেতরে সশস্ত্র যোদ্ধারা ঢুকে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে বহু মানুষ হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

পাশের একটি ভবন থেকে লাইভ করার সময় সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার একজন সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভয়াবহ সেই হামলার ঘটনার ভিডিও।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে ইসরাইলের বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো গাজায় দুটি বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ওই ভবন দুটি হামাসের ‘সামরিক অবকাঠামো’ ছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইল।

এ অবস্থায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আমাদের শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে, যা তারা কখনো দেখেনি।
হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

রামাল্লাহতে আল-জাজিরার ব্যুরো প্রধান ওয়ালিদ আল-ওমারি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সূত্রগুলোর ধারণা, চারটি ভিন্ন এলাকা দিয়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের ঘটনা ইসরায়েলের মধ্যে ঘটেছে। কারণ, সেগুলো সাধারণত আরব অঞ্চলেই ঘটে থাকে।