এক মিনিট শব্দহীন ছিল ঢাকা

এক মিনিট শব্দহীন ছিল ঢাকা

সংগৃহীত

শব্দদূষণের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা আজ এক মিনিট শব্দহীন ছিল। ঢাকাকে এক মিনিট শব্দহীন রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার (১৫ অক্টোবর) শব্দদূষণ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সব স্কুল-কলেজে ‘এক মিনিট শব্দহীন’ এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (৪ অক্টোবর) শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘এক মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালনে স্কুল-কলেজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে সচেতনতার অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নানা কর্মসূচির কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ।

ফারহিনা আহমেদ বলেন, এক মিনিট বড় বিষয় নয়, বিষয়টি হলো একটি বার্তা দেওয়া। শব্দদূষণ ঘটানো যে একটি অপরাধ, সেই বার্তা দেওয়া। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় শব্দসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এছাড়া এ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন করার কথা জানানো হয়। স্থানগুলো হলো- ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণী মোড়, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায়।

মানববন্ধন থেকে গাড়িচালকদের মধ্যে শব্দসচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়। ওই এক মিনিট হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ কর্মসূচি বাস্তবানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, সব ধরনের পরিবহন ও নির্মাণ সমিতি, বিআরটিএ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, পুলিশ বিভাগ এবং স্কাউটসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।