পাবিপ্রবির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

পাবিপ্রবির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

পাবিপ্রবির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) কর্মরত এক কর্মচারী বিরুদ্ধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের  অন্য এক কর্মচারীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানি এবং ইভটিজিং এর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই কর্মচারী নাম আহসান হাবীব রুমি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর । বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খাদেম রাসেল আহম্মেদ এ অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ।

 অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, গত ১২ অক্টোবর তিনি এবং তার পরিবারসহ আনুমানিক বেলা ৩.০০ ঘটিকার সময় পাবনা জেলা পরিষদের সামনে অবস্থান করছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত কাজে জেলা পরিষদের ওয়াশরুমে যান, সেই সময় তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছিলেন । উক্ত সময় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিসি দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আহসান হাবীব রুমি সেই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রীকে দেখার পরে তার দিকে অগ্রসর হন এবং তার স্ত্রীর সাথে অশোভন আচরণ করে মোবাইল নম্বর, ফেসবুক আইডি দেয়ার জন্য বলেন। তার স্ত্রী সেগুলো দিতে অমত পোষন করেন কারণ আহসান হাবীব রুমি অপরিচিত ছিলেন। তখন আহসান হাবীব রুমি কুপ্রস্তাব ও ইভটিজিং করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তিনি সেখানে এসে আহসান হাবীব রুমি কে সালাম দিলে রুমি তাকে চিনতে পারে এবং জিজ্ঞাসা করলে বলেন যে তিনি ফার্মেসি বিভাগে কাজ করেন। সেখান থেকে চলে আসার পরে তার স্ত্রী তাকে উক্ত কথাগুলো বলেন।

গত ১৫ অক্টোবর অফিস চলাকালীন সময়ে তিনি আহসান হাবীব রুমির সাথে দেখা করেন উক্ত ঘটনার কথা বললে রুমি তার কাছে ক্ষমা না চেয়ে বরং হুমকি দেয় এবং উক্ত সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেন। সেখানে প্রটোকল অফিসার এবং ভিসির পি.এস উপস্থিত ছিলেন সেজন্য তিনি কথা না বাড়িয়ে চলে আসেন এবং লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী আহসান হাবীব রুমি বলেন, উনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ঐদিন আমি সোনালী ব্যাংক থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আমার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খাম ছিলো, সেটা দেখে উনার স্ত্রী আমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমি বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি করি কি না? আমি বললাম হ্যাঁ, তখন উনি (খাদেম সাহেবের স্ত্রী) বলেন যে তার স্বামীও বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি করে। তিনি তার স্বামীর নাম পরিচয় দেওয়ার পরও আমি তাকে চিনতে পারিনি । তখন আমি বললাম যে আপনার স্বামীর ছবি থাকলে আমাকে দেখান দেখি চিনতে পারি কিনা। সেইসময় উনি ছবি দেখালেও আমি চিনতে পারিনি। পরে উনি বললো আপনি একটু অপেক্ষা করেন আমার স্বামী আসতেছে। কিছু সময় পর মসজিদের খাদেম আসলেন এবং আমাকে চিনলেন। তারপর আমি পরিচিত হলাম এবং সেখান থেকে চলে আসি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার তিনদিন পরে উনি আমার অফিসে এসে আমাকে উল্টাপাল্টা কথা বলে চলে যান। গতকাল শুনলাম তিনি রেজিস্ট্রার বরাবর একটা অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।

উনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তার একটিও সত্য নয়। যদি সত্য বলে প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে শাস্তি দেবে আমি তা মাথা পেতে নেবো। আর এটা যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে উনি যে আমাকে হয়রানি করছে তার জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।