গাংনী পৌর মেয়রসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা

গাংনী পৌর মেয়রসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা

ছবিঃ সংগৃহীত।

প্রতারনা করে জমি দখল জালিয়াতি ও দখলের সহায়তার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গাংনী পৌর মেয়র আহাম্মেদ আলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করেছে আদালত।

গত মঙ্গলবার মোকাম আমলী আদালত গাংনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তরিকুল ইসলাম এ আদেশ জারী করেন। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে আসামীদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

 

অন্যান্য আসামীরা হচ্ছেন- রুপালী ব্যাংক লিঃ গাংনী শাখার ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলাম, কৃষি ব্যাংক গাংনী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শামসুল আলম, ফতাইপুরের জিয়ারুল ইসলাম ও জাকির হোসেন, গাংনী মহিলা কলেজ পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক ও ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমান।

প্রতারনা করে জমি দখল জালিয়াতি ও দখলের সহায়তার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গাংনী পৌর মেয়র আহাম্মেদ আলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করেছে আদালত। 

২০২১ সালে আব্দুর রশিদ ওই জমি বিক্রি করেন আব্দুর রহমানের কাছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাড়িসহ জমি বিক্রি করে দেন চৌগাছা গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছে। রফিকুল ইসলাম বাড়ি দখল নেন এবং খারিজ, খাজনা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করেন তার নামে। পৌরসভা থেকে হোল্ডিংও খোলা হয় রফিকুল ইসলামের নামে।

 

এদিকে ঋণ খেলাপির দায়ে কৃষি ব্যাংক তড়ি ঘড়ি করে আব্দুর রাজ্জাকের জমি গোপনে নিলাম করে। কাগজপত্রের নিয়মাবলী গোপনে জোড়াতালি দিয়ে নিলাম সম্পন্ন করে মটগেজকারী আব্দুর রাজ্জাকের আপন ভাই জিয়ারুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে কৃষি ব্যাংক। কৃষি ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক শামসুল আলম একটি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিলাম করেন।

এদিকে রফিকুল ইসলাম ওই জমি ও বাড়ি মটগেজ দিয়ে রুপালী ব্যাংক গাংনী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কাগজপত্রের বৈধতা আইন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে ঋণ দেয় রুপালি ব্যাংক। যা নিশ্চিত করেছেন রুপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে রুপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কৃষি ব্যাংকের কাছ থেকে নিলামে নেয়া জিয়ারুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে দমি দখলের কাছে সহায়তা করেন।

এদিকে একই জমি রফিকুল ইসলাম ক্রয় করেন আব্দুর রহমানের কাছ থেকে আর জিয়ারুল ইসলাম কেনেন কৃষি ব্যাংকের নিলামে। জিয়ারুল ইসলাম নিলালের মাধ্যমে জমির মালিক দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও রফিকুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অপরদিকে ওই জমি খারিজ খাজনা প্রদান ও হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করার পরও মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং জমি দখলে সহযোগিতা করেন পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী।

 

প্রতিকার পেতে রফিকুল ইসলাম মোকাম আমলী আদালত গাংনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে ৭ জনকে আসামী করে গত চলতি মাসের ১৭ তারিখে মামলাটি করেন। যার নং- সিআর ৬৮০। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই দিনউ গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করেন।