জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংবাদিকদের মিলন মেলা

জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংবাদিকদের মিলন মেলা

ছবিঃ সংগৃহীত।

সাংবাদিকদের 'সেকেন্ড হোম' খ্যাত জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ক্লাব অঙ্গন সাংবাদিকদের মিলন মেলায় রূপ নেয়। দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান হয়ে উঠে বর্ণাঢ্যময়। বছরে একবার সাংবাদিকরা মিলিত হয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

শুক্রবার রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ। সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু।

 

উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চ্যাটার্জি, শাহনাজ সিদ্দীকী সোমা, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ প্রেস ক্লাবের সদস্যরা।

অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যরা এ দেশের সব স্বাধিকার আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর সেই স্তম্ভের নেতৃত্ব দিচ্ছে এই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। জাতির ক্রান্তি কালে তারা সব সময় এগিয়ে এসেছে। আগামী দিনে এগিয়ে আসবে।

 

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে পথ দেখায়। রাষ্ট্রের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে ন্যায়ের পথ দেখায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারি এবং একই সঙ্গে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আমরা রাষ্ট্রের বিকাশের সঙ্গে চাই মানবিক বিকাশ। এজন্য মানুষের বিবেক উম্মোচিত করার জন্য সাংবাদিকরা অপরিসীম ভূমিকা রাখতে পারে। পরে মন্ত্রীসহ অতিথিরা মনোজ্ঞ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

নুজহাত শাওনের সঞ্চালনায় সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বান্দরবান পার্বত্য জেলার মার্মা, ত্রিপুরা, লুই সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জমকালো নৃত্য পরিবেশন করেন। নৃত্য পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ওয়ার্দা রিহাব, নিত্য সংগঠক ধৃতি নর্তানলয়।

 

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন,কণা, সাব্বির, সন্দিপন, অরিন।

 

জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে শিল্পীদের হাতে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট তুলে দেন ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। সদস্যরা রাতে ডিনার পার্টিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি র‌্যাপেল ড্রতে অংশগ্রহণ করেন। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।