ভূরুঙ্গামারীতে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনার মূল আসামী গ্রেপ্তার

ভূরুঙ্গামারীতে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনার মূল আসামী গ্রেপ্তার

সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শাহীন আলম (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা করে বস্তাবন্দী অবস্থায় ফেলে রাখার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম শফিকুল ইসলাম শফি (৩২)। শফি ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের আঙ্গারীয়া এলাকার ঝালেম উদ্দিনের ছেলে। 

শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর থানার দোয়ারীপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন।

পুলিশ জানায়, নিহত শাহীন আলমের একটি এনড্রোয়েড মোবাইল ফোন চুরি হয়। গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরৎ দেবার কথা বলে বারাইটারী এলাকার সনাতন পাড়ার একটি সুপারি বাগানে শাহিন আলমকে ডেকে আনে গ্রেপ্তারকৃত শফি। সেখানেই শাহীনকে অতিরিক্ত নেশা করিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে শফি। পরে শাহিনের লাশ বস্তায় ভরে বারাইটারী এলাকার সনাতন পাড়ার একটি ধান ক্ষেতে রেখে দেয়। স্থানীয়রা ১৫ অক্টোবর রোববার সকালে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিদ্দিক আলম বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম শফি, শফির মামা নূর মোহাম্মদ ও মা সখিনাকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ নূর মোহাম্মদ ও সখিনাকে আটক করেছিলো। 

নিহতের ভাই ও মামলার বাদী সিদ্দিক আলম জানান, 'আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।'

ভূরুঙ্গামারী ও কচাকাটা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম বলেন, 'মোবাইল চুরি যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। চুরি যাওয়া মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' তিনি আরও জানান, 'শফি একাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডের স্থান ও আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে।'