ফুলবাড়ীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কবিগানের আসর

ফুলবাড়ীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কবিগানের আসর

ছবিঃ সংগৃহীত।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত কবিগানের আসরে রাত জেগে শ্রোতাদের উপচেপড়া ভিড়।

রোববার দিবাগত রাতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী জমিদার পাড়া গ্রামে দূর্গা মন্দিরে বসে এ কবিগানের আসর।

 

 

মন্দির চত্বরে টাঙ্গানো হয়েছে সামিয়ানা। তার মাঝখানে বাদকদের বাদ্যযন্ত্রেরর ঝুমার তালের বাজানা। তার দুই পাশে গায়কের দল। চারপাশে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের শত শত নারী-পুরুষ। কেউ মাটিতে খড় বিছিয়ে বসে, কেউবা দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন গান। এই হলো দেশীয় সংস্কৃতি লোক সংগীতের অংশ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কবিগানের আসর।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে দলে দলে লোকজনের সমাগম বাড়তেই থাকে মন্দির চত্তরে, রাত যত গভীর হয় জমে উঠে গানের আসর। রাত জেগে গানের আসরে দর্শক শ্রোতাদের উপচেপড়া ভিড় জমে।

 

মন্দির পরিচানা কমিটির সভাপতি রাখাল চৌধুরী বলেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য দূর্গাপূঁজায় তারা এ আয়োজন করেন। কবিগান পরিবেশন করেন দিনাজপুর

 

জেলার বিরল উপজেলার দিতি রানী সরকার ও তাঁর দল এবং পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া গ্রামের এম.এ.এম বরাত সরকার ও তাঁর দল।

 

দিনাজপুর সদর থেকে আসা হৃদয় কুমার রায় (৫২) বলেন, কবিগানের কথা শুনে তিনি দূর্গাপূজা দেখতে আত্মীয়র বাড়ীতে এসে কবিগান উপভোগ করছেন। একই ভাবে খয়েরবাড়ী ইউনিয়ের আশপাশের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরাও এসেছেন কবিগান উপভোগ করতে।

খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘একসময় গ্রামবাংলার বিনোদনের অন্যতম খোরাক ছিল কবিগান। তাৎক্ষণিক সুরের সঙ্গে কথা বেঁধে মঞ্চে এ গান পরিবেশন করা হয়। পাল্টাপাল্টি যুক্তি-তর্ক আর গানে গানে দুই কবিয়ালের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চলে আসর। এটি বাংলা লোকসংগীতের একটি বিশেষ ধারা।’ এলাকায় এই গান অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমি আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানান তিনি

 

কবি গানের আয়োজক জমিদার পাড়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি রাখাল চৌধুরী বলেন, তারা দূর্গা মন্দিরে প্রতি বছর দূর্গাপূজাতে পূজার আনন্দের সাথে আরও বাড়তি আনন্দ যোগ করতে প্রতি বছর যাত্রাপালা গানের আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর কবিগানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের প্রচারে ‘এত লোকের সমাগম হবে তা বুঝতে পারেনি আয়োজক কমিটিও। দর্শকদের উপস্থিতি দেখে তারা অবাক হয়েছে। শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে কবিগান উপভোগ করেছেন।