ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী এবং সমাজসেবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর রাজধানীর আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৭ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান (অনারারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন পরিচালিত আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ, আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, যশোর এবং আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ, খুলনার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছিলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আটকাবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টে আইনি লড়াই পরিচালনা করেন তিনি।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। এর পর যুক্তরাজ্য থেকে ১৯৬২ সালে বার অ্যাট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন।

তিনি তার সুদীর্ঘ আইন পেশায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইনি সংস্থা কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও মরহুম রফিক-উল হক অর্থ, ব্যাংকিং এবং ক্রেডিটবিষয়ক জাতীয় কমিশনের সদস্য, কমিশনের অধীনস্থ ব্যাংকিং আইনবিষয়ক সাব-কমিটির (যা ১৯৮৪ সালে বর্তমানে প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংকিং আইন প্রণয়ন করে) চেয়ারম্যান, করপোরেট আইন কমিটির চেয়ারম্যান (১৯৯০), কোম্পানি আইন রিফর্ম কমিটির সদস্য (১৯৭৭), এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক-উল হক। এ সময়ে তিনি কোনও সম্মানী নেননি। পেশাগত জীবনে তিনি কখনও কোনও রাজনৈতিক দল করেননি। তবে নানা সময়ে রাজনীতিবিদরা সবসময় তাকে পাশে পেয়েছেন। রাজনীতিবিদদের সম্মান সবসময়ই অর্জন করেছেন তিনি। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তার জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করে গেছেন মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়।