ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ, ভারতে আটক ২০০

ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ, ভারতে আটক ২০০

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করায় দুই শতাধিক বেশি আন্দোলনকারীকে আটক করেছে ভারত। রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভের সময় তাদেরকে আটক করা হয় বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই ও ইন্ডিয়া টুডে।

খবরে বলা হয়েছে, জওহরলাল নেহরু, জামিয়া মিলিয়া ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ করেন। কয়েকটি শিক্ষার্থী সংগঠন এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, শিগগিরই গাজা উপত্যকায় বন্ধ করা হোক আগ্রাসন। একইসাথে মানবিক বিপর্যয়রোধে দ্রুত অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আহ্বানও জানান তারা। কিন্তু দূতাবাসের মূল ফটক পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে শিক্ষার্থীরা। সেখানেই বসে পড়েন অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চালানো হয় ধরপাকড়। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ করছিল এবং ইসরায়েলি দূতাবাসে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল। তখন পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএ) দিল্লি ইউনিটের সভাপতি অভিজ্ঞান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিক্ষোভের সময় দূতাবাসের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তাদের বিভিন্ন থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে যে, পুলিশ তাদের পিটিয়েছে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি ঐশী ঘোষ দাবি করেছেন, পুলিশের অভিযানে অনেক ছাত্র আহত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগেই বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছিল।

পুলিশ কর্মকর্তারা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বিক্ষোভের কোনো অনুমতি ছিল না।

বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেয়। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, এই বিক্ষোভ ছিল ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করার জন্য।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বর্তমানে ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮২টিই শিশু। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৮৭ জন হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫টিই শিশু। নারী ১ হাজার ১১৯ জন, প্রবীণ ২১৭ জন। আহত হয়েছে ১৫ হাজার ২৭৩ জন।

এর আগে বেসরকারি দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রতি ১৫ মিনিটে ১টি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। মানবিক সংকটের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।