আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক পরিবারের দুজনের বেশি পরিচালক নয়

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক পরিবারের দুজনের বেশি পরিচালক নয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং কোম্পানিতে এক পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক হতে পারবে না এবং এক পরিবার থেকে ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করা যাবে না। তবে এক পরিবারে শেয়ার ৫ শতাংশের কম হলে সে পরিবার থেকে সর্বোচ্চ একজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবে। আর ৫ শতাংশের বেশি হলে দুজন পরিচালক হতে পারবেন। ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩’-এর খসড়ায় এমন বিধান রেখে তাতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

 

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এক পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক হতে পারবে না এমন বিধান রেখে ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এক পরিবার থেকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করা যাবে না। এ ছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানে দুজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ সর্বোচ্চ ১৫ জন পরিচালক থাকতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এক পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক হতে পারবে না এমন বিধান রেখে ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এক পরিবার থেকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করা যাবে না। এ ছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানে দুজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ সর্বোচ্চ ১৫ জন পরিচালক থাকতে পারবে।

তিনি বলেন, নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার পর তিন কারণে ঋণ খেলাপি বলা যাবে। তা হলো সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ শোধ না করলে, যে কারণ দেখিয়ে ঋণ নেওয়া হয়েছে সে কারণে ঋণের ব্যবহার না করলে এবং ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ঋণ নিলে তিনি ঋণ খেলাপি হবেন।

 

মাহবুব আরও জানান, পরিচালকদের মেয়াদ হবে তিন বছর। একজন পরিচালক পরপর তিন মেয়াদে সর্বোচ্চ ৯ বছর পরিচালক থাকতে পারবেন। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি করতে চায় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া সুদ মওকুফ করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা যদি লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করেন তাহলে সর্বনিম্ন ১০ লাখ এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। বর্তমান আইনে তিনি আরও জানান, ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি হন তাহলে তাকে দুই বছরের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার নামে ফৌজদারি আদালতে মামলা করা যাবে। এছাড়া বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধি-নিষেধ আসবে।