ঘূর্ণিঝড় হামুন : বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় হামুন : বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় হামুন : বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসার খবরে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বলেশ্বর নদী পাড়ে ২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।বাগেরহাটের মোংলা উপজেলাসহ বিভিন্ন নদী পাড়ে ১৮৫ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্ক রয়েছে।বাগেরহাটে নদ-নদীতে এই মুহূর্তে পানি বৃদ্ধি পায়নি। বাগেরহাটের আকাশে কখনো মেঘলা আবার কখনো হালকা রোদ দেখা যাচ্ছে।

জেলায় ১০টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দর সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।এদিকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জুমের মাধ্যমে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ধেঁয়ে আসার খবরে মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঝড়ে তাদের কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে পানিতে ভেসে যেতে পারে তাদের সহায় সম্পদ।বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, এই মুহূর্তে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হলে, আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন জানান, জেলায় ১০টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসা ও কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ত্রাণবাবদ ৬৫০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, জেলায় বলেশ্বর নদী পড়ে ২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ৩ কিলোমিটার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিং করা হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ১৮৫ কিলোমিটার এলাকায়  নদী পাড়ে বাঁধ না থাকায় বাঁধ নির্মানের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসার খবরে বন্দরে সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আবহাওয়ার সতর্ক বর্তার ওপর নিভর করে বন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই মুহূর্তে বন্দরে জাহাজে পণ্য উঠানো-নামার কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে।

সূত্র : ইউএনবি