হরতাল : পুলিশী নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে যাতায়াত ইবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

হরতাল : পুলিশী নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে যাতায়াত ইবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

হরতাল : পুলিশী নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে যাতায়াত ইবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বিএনপি-জামায়াতের হরতালে রবিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী পরিবহনগুলো ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেছে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায়। সকাল সোয়া আটটায় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়িগুলো একযোগে ছেড়ে আসে। এসময় গাড়ি বহরের সামনে ও পেছনে পুলিশ ও র‌্যাবের  বেশ কয়েকটি গাড়ি নিরাপত্তা দেয়। বিকেল চারটায় আবারো গাড়িগুলোকে নিরাপত্তার সাথে জেলা শহরে পৌঁছে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহীনি।  এছাড়া দিনভর ক্যাম্পাস ও প্রধান ফটকে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহীনির সদস্যরা অবস্থান নেন।  এদিকে অন্য দিনগুলোতে দিনের বেলায় দুই শিফটে গাড়ি ক্যাম্পাসে যাতায়াত করলেও এদিন দুপুরের শিফট বন্ধ রাখা হয়। ফলে সকালে এসে বিকেল চারটায় জেলা শহরে ফেরে গাড়িগুলো।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা পাশ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েছি। তারা আমাদেরকে র‌্যাব, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশের সতর্ক নরজদারি ছিল।

ক্যাম্পাস ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে হরতাল বিরোধী মিছিল ছাত্রলীগের:হরতালের নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করছে অভিযোগ করে ক্যাম্পাস ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে হরতাল বিরোধী মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। রবিবার বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসের দলীয় টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে গিয়ে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারো দলীয় টেন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে নেতারা বলেন, দেশের এই অভাবনীয় উন্নয়নের সময়ও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্র থেমে নেই। তারা বিভিন্নভাবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চক্রান্ত করছে। সাধারণ জনগণ আজ বিএনপি-জামাতের অবৈধ হরতালকে লালকার্ড দেখিয়েছে। দেশের জনগণ এখন উন্নয়নে বিশ্বাসী।