সিরাজদিখানে আগাম আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

সিরাজদিখানে আগাম আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

ছবিঃ সংগৃহীত।

গত বছরে টানা লোকসানের মুখে মুন্সীগঞ্জের কৃষকদের আলু আবাদে আগ্রহ ছিলো কম।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরে সিরাজদিখান উপজেলায় আলু উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। চলতি বছরও উপজেলায় আলু চাষ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এখন সেটা একেবারেই উল্টো। 

এ বছর আলুর বাজার ছিলো তুঙ্গে। তাই চাষিরা মাঠে নেমেছে আলু চাষে। দেশের আলু উৎপাদনের বৃহত্তর জেলা ও প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে দেশব্যাপী মুন্সীগঞ্জের নাম সুনাম অতি পরিচিত। কার্তিক মাসের শুরুতে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে প্রতিবছরই আগাম আলু চাষ করে মৌসুমের আগে দেশবাসীকে যেমন আলুর চাহিদা মিটায় এখানকার কৃষকরা তেমনি লাভবান ও হয় তারা।উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র বালুচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের জমিতে আগাম জাতের ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আলু চাষ করে। প্রতি বছর চলমান এই মৌসুমে জমিতে প্রায় ১০০ বিঘা আগাম আলু চাষ হয় তারই ধারাবাহিকতায় আগাম আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা।

কৃষক নূর ইসলাম জানান, প্রতি বছর তিনি কার্তিক মাসের শুরুতেই কয়েক বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেন, যদিও মূল আলু লাগানোর সময় হলো কার্তিকের শেষে। আগাম আলু চাষে প্রতি বিঘা জমিতে যদিও আলু উৎপাদন কম হয়, তবে আগে আলু উত্তলন করে বাজারজাত করলে ও বিক্রি করলে ভালো লাভবান হওয়া যায়। কৃষক মামুন জানান, মূল সময়ে আলু লাগাতে বিঘা প্রতি আনুষাঙ্গিক সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়,আগাম আলু লাগাতেও কিছু খরচ বেশি যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় আলু চাষ হয় সদর, টঙ্গিবাড়ি ও সিরাজদিখানে বেশি। মুন্সীগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় গত বছর ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে। এর আগে ২০২২ সালে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর, চাষ হয়েছিল ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর। ২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর, চাষ হয়েছিল ৩৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর। ২০২০ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৪৯৫ হেক্টর, চাষ হয়েছিল ৩৭ হয়েছে ৫৯০ হেক্টর এবং ২০১৯ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৮০০ হেক্টর, চাষ হয়েছিল ৩৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবু সাঈদ শুভ্র বলেন সিরাজদিখান উপজেলায় এ বছর আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। তবে আমাদের প্রত্যাশা এই পরিমান আরও বাড়তেও পারে।