গণমানুষের কল্যাণই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন : স্পিকার

গণমানুষের কল্যাণই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন : স্পিকার

গণমানুষের কল্যাণই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন : স্পিকার

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণমানুষের কল্যাণই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা।এই বাংলার জল, কাদা ও মাটি মেখে বঙ্গবন্ধু বেড়ে উঠেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বঙ্গবন্ধু আজন্ম কাজ করে গেছেন।

স্পিকার আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের এল.ডি হল মিলনায়তনে  বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’র (বিএসসিএল) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাণী’ শীর্ষক বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি এসময় এ  গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাণী’ সংকলনটি আকারে ছোট হলেও এর বিষয়বস্তু অনেক গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ। সূচিপত্রের ১৭টি বিষয়ভিত্তিক বিভাজন ও বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় জলছাপের মাধ্যমে বিরল মুহূর্ত ও ঐতিহাসিক ঘটনা নতুন প্রজন্মের মানসপটে ভেসে উঠবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের স্বাধীনতা পূর্ববতী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে তেইশ বছর কেটেছে আন্দোলন সংগ্রামে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর আজন্ম লালিত ‘সোনার বাংলা’ গঠনের জন্য এদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম দরদ দেখিয়েছেন।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন আর বাণীগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নিজস্বতা ও স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তিনি তাঁর বাণী প্রদান করেছেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার আরাধ্য স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন।স্পিকার বলেন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএস একাডেমিতে এসব বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাণী প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য এই উদ্যোগ নি:সন্দেহে অনন্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা মুখবন্ধ এই গ্রন্থটিকে আরও ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’র চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহ্জাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম.এ. মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ড. শাহজাহান মাহমুদ। এছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস