নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সেমিতে এক পা দক্ষিণ আফ্রিকার

নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সেমিতে এক পা দক্ষিণ আফ্রিকার

সংগৃহীত

চলতি বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচ জিতে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছিল রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ধর্মশালায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর তাদের সেমির সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে গেছে। এবার বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে উড়ন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা। এ ম্যাচে কিউইদের ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে এক পা দিয়ে রাখলো প্রোটিয়ারা।

বুধবার (১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৬তম ওভারে মাত্র ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। ফলে ১৯০ রানের বিশাল জয়ে সবার শীর্ষে উঠে সেমিতে এক পা দিয়ে রাখল প্রোটিয়ারা।

 

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতেই জোড়া উইকেট হারায় কিউইরা। এরপর দলীয় ১০০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তাসমান পারের দেশটি।

ইয়ানসেন ও মহারাজের বোলিং তোপে ইনিংসের ৩৬তম ওভারেই ১৬৭ রানে গুঁটিয়ে যায় কিউইরা। এতে ১৯০ রানের বড় জয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বাভুমার দল।

প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন মহারাজ। এ ছাড়া ইয়ানসেন তিনটি, কোয়েটজে দুটি ও রাবাদার শিকার এক উইকেট।

এর আগে, টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক ও বাভুমা। বেশ দেখেশুনেই খেলতে থাকেন তারা। তবে ইনিংসের নবম ওভারেই ধাক্কা খায় উড়ন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টের বলে ড্যারেল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রাসি ফন ডার ডুসেনকে সঙ্গে নিয়েই সেই ধাক্কা সামাল দেন ডি কক। এরপর স্বভাবসুলভ ক্রিকেট খেলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন তারা। ক্রমেই কিউই পেসারদের ওপরে চড়াও হতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুইজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২০০ রানের বিধ্বংসী পার্টনারশিপ গড়েন তারা। এরপর টিম সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩ ছক্কা ও ১০ চারে খেলেন ১১৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

ডি কক ফিরলে অপরপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ডুসেন। এরপর তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম শতকও।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের ভীত গড়েন এ ব্যাটার। ৪৩ বলে ৭৮ রানের বড় জুটি গড়েন তারা।

শেষ দিকে ডুসেনের ১১৮ বলে ১৩৩ ও মিলারের ৩০ বলে ৫৩ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রানের পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা।

কিউইদের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি।