পেটে ৮ মাসের বাচ্চা নিয়ে আত্মহত্যা করলেন প্রবাসীর স্ত্রী

পেটে ৮ মাসের বাচ্চা নিয়ে আত্মহত্যা করলেন প্রবাসীর স্ত্রী

ছবিঃ সংগৃহীত।

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রাম থেকে ময়না আক্তার নামে ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে।পরে সন্তান জীবিত কিনা তা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের আবুল কাশের বাড়ি থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

নিহত ময়না আক্তার (২২) ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুরাহাতা গ্রামের প্রবাসী মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। ময়না শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের ওই বাসায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন।

 

নিহতের মা জাহানারা আক্তারের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, " শুক্রবার বিকেলের দিকে ভিক্টিমের মা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে মাদ্রাসায় চলে যান। সেখান থেকে বাসায় এসে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে দরজা খুলতে ময়নাকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে স্থানীয়দের সহয়তায় জানালা ভেঙে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় ময়নাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। কি কারণে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি তিনি। ময়না ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে দাবী করেন নিহতের মা জাহানারা।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সুদেপ চক্রবর্তী জানান, অন্ত:স্বত্বা ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে পরীক্ষার পর দেখা যায় পেটে থাকা ৮ মাসের বাচ্চাটিও মারা গেছেন। যদি গর্ভবর্তী মাকে মৃত্যুর তাৎক্ষনিক হাসপাতালে আনা হতো তাহলে হয়তো বাচ্চাটি জীবিত পাওয়া যেতো বলেও জানান তিনি।

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম যায়যায়দিনকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধার করে গর্ভের সন্তান জীবিত আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য দ্রতই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। মা-বাচ্চা দু'জনেই মৃত ঘোষণা করে ডাক্তার। উর্ধতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে এ ঘটনার পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ চলমান।