অবরোধে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক, যাত্রী কম

অবরোধে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক, যাত্রী কম

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দ্বিতীয় দফার অবরোধেও সদরঘাটের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অবরোধে মালামাল পরিবহণ ও যাত্রীর চাপ নেই বললেই চলে।

রোববার রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৩৭টি লঞ্চ টার্মিনালে ভিড়েছে। চাঁদপুরসহ ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে ১২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

 

সরেজমিন দেখা যায়, অন্য সময়ে সদরঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলেও এখন হাতেগোনা কিছু যাত্রী রয়েছেন। যেসব যাত্রী অবরোধেও লঞ্চে পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের মধ্যেও আতঙ্ক কাজ করছেরোববার রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৩৭টি লঞ্চ টার্মিনালে ভিড়েছে। চাঁদপুরসহ ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে ১২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

 

সরেজমিন দেখা যায়, অন্য সময়ে সদরঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলেও এখন হাতেগোনা কিছু যাত্রী রয়েছেন। যেসব যাত্রী অবরোধেও লঞ্চে পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের মধ্যেও আতঙ্ক কাজ করছে।

সদরঘাট টার্মিনালের ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. নয়ন জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে মালামাল পরিবহণ অনেক কমে গেছে।

 

টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা মো. জামান নামে টার্মিনালের এক কর্মচারী জানান, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রী সংখ্যা কম।

 

ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সদরঘাটের পরিস্থিতি ভালো। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো।

 

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যেসব রুটে আগে নিয়মিত ২-৩টি লঞ্চ চলতো সেসব রুটে হয়তো ১টি চলবে। আসলে লঞ্চ কতগুলো চলবে সেটা নির্ভর করছে যাত্রীর ওপর।

চাঁদপুরগামী যাত্রী ফারুক হেসেন বলেন, জরুরি প্রয়োজনে চাঁদপুর যাচ্ছি। রাস্তায় অনেক ভোগান্তি। গাড়ি নেই। আগে চাঁদপুরে কিছুক্ষণ পরপর লঞ্চ পেতাম কিন্তু এখন পাচ্ছি না। কখন লঞ্চ ছাড়বে তার ঠিক নেই।

চাঁদপুরগামী আরেক যাত্রী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়িক কারণে আমাকে প্রতি সপ্তাহেই গ্রামে যেতে হয় কিন্তু এই হরতাল অবরোধে চারপাশে জ্বালাও-পোড়াও অবস্থা। লঞ্চে গিয়েও শান্তি নাই এখন। লঞ্চও কখন কি হয় কে জানে? লঞ্চে যেহেতু অবরোধ দিয়েছে সেহেতু ভয় কাজ করছে৷ তবুও যেতে হবে।

 

লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এমনিতেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ৬০ শতাংশের অধিক লঞ্চে যাত্রী কমে গেছে। তখন থেকেই প্রতিটি ট্রিপে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। এরপর উপায় না পেয়ে গত ১০ আগস্ট থেকে কিছুটা লোকসান কমাতে রোটেশন পদ্ধতি চালু করে লঞ্চ মালিকরা। অবরোধের কারণে মালামাল পরিবহণ ও যাত্রী কমে যাওয়ায় লোকসান আরও বাড়বে।

 

সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। নদীতে নৌ-পুলিশ টহল দিচ্ছে।