গাজায় এক মাসে ৪ হাজারের বেশি শিশু নিহত

গাজায় এক মাসে ৪ হাজারের বেশি শিশু নিহত

সংগৃহীত

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। অবরুদ্ধ এলাকাটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৭৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গত প্রায় এক মাস ধরে গাজায় বোমা হামলা ছালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আবাসিক ভবন, শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল ও স্কুল। এতে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলমান এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৭০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮ জনই শিশু।

সবশেষ পাওয়া তথ্যমতে, সোমবার সকালে গাজার জাওয়াইদা এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সেন্ট্রাল গাজায় অবস্থিত বুরেজি শরণার্থীশিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল আকসা হাসপাতাল। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ নিয়ে মোট তিনটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। জাবালিয়া ও আল-মাগাজি শরণার্থীশিবিরের হামলায় অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এছাড়াও আলজাজিরার ভ্যারিফায়েড বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বুরেজি শরণার্থীশিবিরে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মানুষদের হন্য হয়ে খুঁজছেন ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মী ও বেসামরিকরা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ লাখ গাজাবাসীর মধ্যে ১৫ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনা করছে। তবে অনেকেরই দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি অনেক বেশি।

এদিকে হামাসের হামলা রুখতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে ও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে শত শত ইসরায়েলি। এ সময় তারা হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান।

ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস। সেই হামলা রুখতে ব্যর্থ হয় নেতানিয়াহু প্রশাসন। ফলে তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার (৪ নভেম্বর) জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করে ইসরায়েলিরা।