মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় এক মাস ধরে চালানো নির্বিচার এই হামলায় নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এছাড়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই সেই সাবমেরিন নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছেও গেছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। এ নিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) একটি বিবৃতি দিয়েছে। রোববার গভীর রাতে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘৫ নভেম্বর ওহাইও-শ্রেণির একটি সাবমেরিন ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িত্বের এলাকায় পৌঁছেছে।’

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে দেড় হাজার ইসরায়েলি। আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ আরও ২৩৯ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।

এরপর গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

অবশ্য সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর আমেরিকার এই দেশটি ইসরায়েলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি সংঘাত শুরুর পর পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছিল।

আর এবার এই অঞ্চলে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র।