ছোবড়া শিল্প অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে’

ছোবড়া শিল্প অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে’

ছবিঃ সংগৃহীত।

নারিকেল বাংলাদেশের অন্যতম একটি অর্থকরী ফসল। প্রাচীন আমল থেকে সবার কাছে নারিকেল একটি সুস্বাদু ফল। এটা এমন এক বৃক্ষ যার প্রতিটি অঙ্গ জনজীবনে কোনো না কোনোভাবে কাজে আসে।

নারিকেলের ছোবড়া, পাতা, ফুল, ফল, কাণ্ড, শিকড় সব কিছুই বিভিন্ন ছোট-বড় শিল্পের কাঁচা মাল, হরেকরকম মুখরোচক সুস্বাদু খাবার তৈরির উপকরণ, পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, সুস্বাদু পানীয়, রোগীর পথ্য, এসব গুণে গুণাম্বিত এটি পৃথিবীর সুন্দর একটি গাছ। নারিকেলের কোনো কিছুই ফেলনা নয়।

 

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠি ইউনিয়নের বিষ্ণুকাঠি গ্রামে দীর্ঘ কয়েক বছর পর্যন্ত চলে আসছে নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে আঁশ বের করার প্রক্রিয়া। উদ্যেক্তা মামুন সাত আট জন কর্মচারী নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর পর্যন্ত ছোবড়া দিয়ে আঁশ বের করার একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

 

ছোবড়ার আশ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরবরাহ করে থাকে বলে জানান উদ্যেক্তা মামুন।

নারিকেলের ছোবড়ার আশ দিয়ে পাপোশ, ফ্লোর ম্যাট, রশি, গাড়ি পরিষ্কার করার ব্রাশ, কৃত্রিম ক্রীকেট পিচ ও আরামদায়ক ম্যাট্রেশ, জাজিম তৈরি করা হয় যা ডাক্তারি স্বাস্থসম্মত। ছোবড়া থেকে আঁশ বের করার পর যে কোকোডাস্ট পরে থাকে তা কৃষি, নার্সারিতে জৈব সার হিসেবে ব্যবহৃত হয।

 

ছোবড়া শিল্প সরকারের নজরদারিতে থাকলে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে দেশের অর্থনীতিতে। এই ছোবড়ার আঁশ দিয়ে তৈরি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করলে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।