মুন্সিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে আগুন

মুন্সিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে আগুন

ছবিঃ সংগৃহীত।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দেওয়া একটি ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘরটির বারান্দার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের ঘটে ঘটেনি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কীভাবে এ ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। ঘর মালিক সুমি বেগমের দাবি পরিকল্পিতভাবে ঘরটিতে আগুন লাগানো হতে পারে।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর পান স্থানীয় বিধবা সুমি বেগম। ঘরটিতে খড়, জ্বালানিকাঠ মজুত ছিল। সোমবার দিনগত ১১টার দিকে সুমি বেগমের ঘরের বারান্দায় আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, আগুনে ঘরের বারান্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো মানুষ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সুমি বেগম সন্তানদের নিয়ে উপজেলার ভবানীপুর নামক এলাকায় ছিলেন।

ভুক্তভোগী সুমি বেগম বলেন, তার বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। দুই সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে তিনি বাবার সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ভোর ৪টার সময় খবর পান তার ঘরের সামনে জড়ো করে রাখা খড়কুটোয় আগুন লাগানো হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা সেটি নিভিয়ে ফেলেন। রাত ১১টার সময় তিনি জানতে পারেন তার ঘরের বারান্দায় আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে বারান্দার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঘরের সামনে রাখা প্রতিবেশী হাসান আলীর ধান পুড়ে গেছে।

তিনি বলেন, এর আগে গত বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিধবা বিলকিস বেগমের ঘরের জানলার বাইরের অংশে আগুন দেখতে পান তারা। সঙ্গে সঙ্গে তা নিভিয়ে ফেলায় কোনো ক্ষতি হয়নি। ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‌‘মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরটি রাস্তার পাশে, কেউ ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়েছে না কি বা কোনো উৎস থেকে আগুন লেগেছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, উপহারের ঘর বরাদ্দ পেলও সুমি বেগম ভবানীপুর ছিল। ধান-খড়কুটা থেকে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।