কুয়াকাটায় এবার দেখা মিললো তীব্র বিষধর বেলচেরির

কুয়াকাটায় এবার দেখা মিললো তীব্র বিষধর বেলচেরির

ছবিঃ সংগৃহীত।

কুয়াকাটা সৈকতে বেলচেরি নামের একটি তীব্র বিষধর সাপের দেখা মিলেছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে সাপটি উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের এসআই ইদ্রিস বলেন, রাতে এক পর্যটক সৈকতে হাঁটতে গিয়ে প্রথমে সাপটি দেখতে পায়। একবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হলেও সেটি পুনরায় ভেসে আসে। দ্বিতীয়বার দুইজন পর্যটক সাপটিকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে সাপটি উদ্ধার করে আবারও বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়।

 

অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে অনেকে মনে করলেও আসলে সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুল বেশি বিষাক্ত। সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, এটি সাধারণত কাউকে আঘাত করে না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। তবে সাপটি নিয়ে বেশি ভয়ের কিছু নেই। কারণ এটি কাউকে কামড়ালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষ প্রবেশ করে না। তবে কারো ভাগ্য খারাপ হলে এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫মিনিটের কম সময়েই মৃত্যু ঘটতে পারে।

 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে বিভিন্ন সময় সমুদ্রের বিষধর সাপের আনাগোনা দেখা যায়। এ ব্যাপারে পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি সাপসহ উপকূলের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছি। পর্যটকদের সুবিধার্থে কুয়াকাটা এন্টিভেনাম রাখা খুবই জরুরি বলেও জানান তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে সৈকতে বিরল প্রজাতির ইয়োলো-বিল্ড সি সাপ দেখা যায়। এছাড়া ২১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে মৃত্য একটি ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের দেখা মিলেছে। এছাড়াও সম্প্রতি একটি বিষধর উজ্জ্বল প্যারাবন সাপ দেখতে পায় স্থানীয়রা।