ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান জামায়াতের

ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান জামায়াতের

ছবি: সংগৃহীত

মূলধারার বিরোধীদল ও অধিকাংশ জনগণের মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত সরকারদলীয় নীলনকশার তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বুধবার (১৫ নভেম্বর) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনগণের দীর্ঘ আন্দোলন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আজ্ঞাবহ তফসিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমগ্র জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী এবং জুলুমবাজ বাকশালী সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শাসকদলের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। এমতাবস্থায় সরকারি দলকে খালি মাঠে গোল করার সুযোগ দিতেই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। ষড়যন্ত্রমূলক নীল নকশার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মূলত বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে অতীতের মতো শাসকদলকে জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে। গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনতা একতরফার সাজানো নির্বাচন হতে দেবে না। জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কমিশনকে অবশ্যই এ তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে। সব দলের মধ্যে ঐকমত্য ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত করে কমিশনকে নতুনভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে এবং নতুন তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, দেশের বিরোধীদলগুলোর মতামত অগ্রাহ্য করে তফসিল ঘোষণার ফল কারোর জন্যই সুখকর হবে না এবং দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং দেশকে অস্থিতিশীল ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। সংলাপের পথ রুদ্ধ করবে। রাজনীতিতে ঘোর অমানিশা নেমে আসবে। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় ষড়যন্ত্রকারী সরকার এবং তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।