বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, বিপর্যয়ে ঢাকাও

বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, বিপর্যয়ে ঢাকাও

ফাইল ছবি

বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয় মেগাসিটি রাজধানী ঢাকার বায়ুমান। তবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় রাজধানীর বাতাস আবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে। রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে সুএয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ১৬১, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। দূষিত শহরের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।

একিউআই স্কোর ৩৭৯ নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এ ছাড়া ভারতের রাজধানী দিল্লি ২৭২ স্কোর নিয়ে রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে; ২১৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর; ২১১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি; ১৭৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ শহর; ১৭১ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে আছে ভারতের শহর মুম্বাই; ১৬২ স্কোর নিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে চীনের চেংডু শহর।

আর ১৬০ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে আছে কাতারের দোহা শহর এবং ১৫৯ স্কোর নিয়ে দশম অবস্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।